Tuesday, December 28, 2010

শীর্ষ ৩০ আউটসোর্সিং দেশের তালিকায় বাংলাদেশ

সারা বিশ্বের তথ্যপ্রযুক্তি আউটসোর্সিং কাজ করা দেশগুলোর শীর্ষ ৩০ তালিকায় বাংলাদেশের নাম যুক্ত হয়েছে। সম্প্রতি বিশ্বখ্যাত তথ্যপ্রযুক্তি গবেষণা ও পরামর্শক প্রতিষ্ঠান গার্টনারের এক সমীক্ষায় এ তথ্য জানানো হয়েছে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) খাতে বিশ্বের প্রথম ৩০টি আউটসোর্সিং দেশ হিসেবে বাংলাদেশের নাম অন্তর্ভুক্ত হয়েছে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়। বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশের নাম আউটসোর্সিং খাতে এসেছে, যা সত্যিই খুশির খবর। তথ্যপ্রযুক্তির নানা খাতে সরকার বিভিন্ন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে হাইটেক পার্ক, সফটওয়্যার পার্কের মতো বেশ কিছু কাজ হয়েছে এবং ডিজিটাল সইয়ের ব্যাপারে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতিও হয়েছে। বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের জন্য এ স্বীকৃতি একটি উল্লেখযোগ্য অর্জন। এ বছর বাংলাদেশ ছাড়াও বিশ্বের আর চারটি দেশ নতুনভাবে তালিকায় যুক্ত হয়েছে এবং এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশের স্থান নবম। এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে ভারত, চীন, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন, শ্রীলংকা, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনাম। মোট ১০টি বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে এ তালিকায় ছিল মূল্য সুবিধা, জনশক্তি, শিক্ষা পদ্ধতি, অবকাঠামো, সরকারি সহযোগিতা, ভাষা ইত্যাদি।
এ কাজকে আরও শক্তিশালী ও ভালোভাবে এগিয়ে নিতে দ্রুত দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবল স্থাপনসহ একাধিক সফটওয়্যার পার্ক স্থাপন, সরকারি ও বেসরকারি সমন্বিত উদ্যোগ কাজে লাগিয়ে প্রয়োজনীয় দক্ষ জনশক্তি তৈরি এবং তাদের ভাষাগত দক্ষতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। ইতিমধ্যে দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে বেসিস ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট (বিআইটিএম) প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে ।

Monday, December 20, 2010

ডিজিটাল বাংলাদেশ

একটি ওয়েবসাইট যা কোনো একটি বিষয়ে প্রবেশের জন্য একটা উপায়, যার মাধ্যমে এর ব্যবহারকারীদের জন্য জ্ঞান-সম্পদ ও সেবা সমূহের একটি বহুস্তরীয় সূচী প্রস্তুত হবে - যার মধ্যে প্রয়োজন মেতাবেক তথ্য যেমন থাকবে, তেমন থাকবে ই-মেল , কৃষি, স্বাস্থ্য, বা শিক্ষার মতো ক্ষেত্রে তথ্যপ্রযুক্তি সেবা দিয়ে যাতে করে গ্রামীণ জনগণের জীবনে পরিবর্তন আনা যায়।
বাংলাদেশে বর্তমানে ক্ষমতাসীন মহাজোট সরকারের প্রদান শরিক আওয়ামী লীগের নির্বাচনী অঙ্গীকার ছিল ২০২১ সালের মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তি সমৃদ্ধ এক ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলা
উপজেলা পর্যায়ে চলমান ডিজিটাল বাংলাদেশ কার্যক্রমকে আরো বেগবান ও সুসমন্বিত করতে একটি ওয়েবসাইট সহায়কের ভূমিকা পালন করবে
ডিজিটাল বাংলাদেশ মানে হচ্ছে এমন এক ব্যবস্থা যেখানে সুশাসন থাকবে, সরকারের কার্যক্রমে দায়বদ্ধতা-স্বচ্ছতা থাকবে, দুর্নীতি কমে যাবে এ লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য  তথ্য প্রযুক্তির শক্তিকে ব্যবহার করতে হবে তথ্যপ্রযুক্তি-ভিত্তিক সেবার এমনভাবে প্রসার ঘটানো, যাতে আগে যেসব সেবার জন্য নানা জায়গায় ছুটতে হতো তার আর দরকার হবে না - ঘরে বসেই কম্পিউটারে এবং মোবাইল ফোনে তা পাওয়া যাবে


কোম্পানীগজ্ঞ  উপজেলার একটি সমৃদ্ধ ওয়েব পোর্টাল তৈরী করা হবে। উপজেলায় বসবাসরত সব ব্যক্তিকে তথ্যপ্রযুক্তি সেবার আওতায় আনতেই এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

Tuesday, November 9, 2010

কোম্পানীগজ্ঞের ইতিহাস


বঙ্গোপসাগরের  উত্তাল ঢেউয়ের তরঙ্গমালা ক্রীড়া নৈপূণ্যে জেগে উঠেছে পলিমাটি বিধৌত এই সাগর তীর বার বার সাগরের ভাঙ্গাণ্ডগড়া, সামুদ্রিক ঘূর্ণি  আর প্রলয়ংকারী জলোচ্ছ্বাসের তান্ডবলীলায়  শিকার সংগ্রামী মানুষরাই আজ কোম্পানীগঞ্জের অধিবাসী ছায়াশ্যামল, পাখি ডাকা তাল তমাল, নারিকেলণ্ডসুপারি কুঞ্জ আর সোনালী ধানের মাঠ সমৃদ্ধ কোম্পানীগঞ্জ।  এই সমতট অঞ্চলটি বৈদিক যুগেই ( ১৪০০ ণ্ড১৫০০ খৃষ্টাব্দ  পূর্বে) জন বসতির উপযোগী হয়েছিল, তার প্রমাণ মেলে  মহাভারতের ঘটনা পঞ্জিতে।
কোম্পানীগঞ্জের নাম করণের ইতিহাস খুঁজলে জানাযায়, কোম্পানীগঞ্জ তথা যোগিদীয়া ছিল বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক সমুদ্র বন্দর। ১৭৫৩ সালে এই স্থানে ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী কুঠি স্থাপন করে ব্যবসা-বাণিজ্য শুরু করে। ১৭৫৬ সালে কোম্পানী একটি বস্ত্রকল স্থাপন কর, পরে ফরাসীরাও এখানে বিশাল কাপড়ের কল স্থাপন করে এবং স্থানীয় যোগী (তাঁতী) দের উৎপাদিত দেশীয় বস্ত্রসহ এসব কাপড় এবং লবন যোগিদীয়া সমুদ্র বন্দর দিয়ে বিদেশে রপ্তানী হত। ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী নামানুসারে পরবর্তীতে এই স্থানের নামকরণ করাহয় কোম্পানীগঞ্জ। এই কোম্পানীগঞ্জের যোগিদীয়ায় চন্দ্রদ্বীপ, বাকলা, ভূষনা, বিক্রমপুর, মেহেরকূল অঞ্চলের পন্ডিতদের সম্মেলন বসতো এবং বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনের সৈনিক মাষ্টারদা সূর্ষসেন, অনন্তসিংহ, লোকনাথ বল, বিভুতি ভূষণ ভট্টাচার্য,হারানঘোষ প্রভুত এখানে বৈঠক করতেন।
বিস্তৃর্ণ  চরাঞ্চলে গরু, মহিষ, অতিথি পাখিদের  অভয়ারণ্য কোম্পানীগঞ্জ ৮টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা  নিয়ে গঠিত। বিদেশী জাহাজে  চাকুরীর সুবাদে কোম্পানীগঞ্জ বাসী বিশ্বের প্রায় দেশেই অবস্থান করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা এদেশে  পাঠাচ্ছেন। তারই ফলশ্রুতিতে চরাঞ্চল কোম্পানীগঞ্জ আজ একটি সমৃদ্ধ মফস্বল শহর। ১৯৮৩ সনের ২ জুলাই উপজেলাটি উদ্বোধন করা হয়।

Thursday, November 4, 2010

কালীপূজা

কালীপূজা বা শ্যামাপূজা
হিন্দু দেবী কালীর পূজাকে কেন্দ্র করে অনুষ্ঠিত একটি হিন্দু উৎসব। প্রধানত বাঙালি হিন্দুদের মধ্যে এই উৎসব উপলক্ষ্যে প্রবল উৎসাহ উদ্দীপনা লক্ষিত হয়। বাংলায় গৃহে বা মন্দিরে প্রতিষ্ঠিত কালীপ্রতিমার নিত্যপূজা হয়ে থাকে। আশ্বিন মাসেরঅমাবস্যা তিথিতে অনুষ্ঠিত সাংবাৎসরিক দীপান্বিতা কালীপূজা বিশেষ জনপ্রিয়। এই দিন আলোকসজ্জা ও আতসবাজির উৎসবের মধ্য দিয়ে সারা রাত্রিব্যাপী কালীপূজা অনুষ্ঠিত হয়। উল্লেখ্য, দীপান্বিতা কালীপূজার দিনটিতে ভারতের অন্যান্য জায়গায় দীপাবলি উৎসব পালিত হয়। সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে এই দিন লক্ষ্মীপূজা অনুষ্ঠিত হলেও বাঙালি, অসমীয়া ও ওড়িয়ারা এই দিন কালীপূজা করে থাকেন। এছাড়া মাঘ মাসের কৃষ্ণা চতুর্দশী তিথিতে রটন্তী এবং জ্যৈষ্ঠ মাসের কৃষ্ণা চতুর্দশী তিথিতে ফলহারিণী কালীপূজাও যথেষ্ট জনপ্রিয়।

ইতিহাস

চামুণ্ডাচর্চিকা কালীর পূজা বাংলা ও বহির্বঙ্গে প্রাচীন উৎসব হলেও বর্তমান আকারে কালীপূজা আধুনিক কালের। ষোড়শ শতাব্দীতে নবদ্বীপের প্রসিদ্ধ স্মার্ত পণ্ডিত তথা নব্যস্মৃতির স্রষ্টা রঘুনন্দন দীপান্বিতা অমাবস্যায় লক্ষ্মীপূজার বিধান দিলেও, কালীপূজার উল্লেখ করেননি। ১৭৬৮ সালে রচিত কাশীনাথের কালী সপর্যাসবিধি গ্রন্থে দীপান্বিতা অমাবস্যায় কালীপূজার বিধান পাওয়া যায়। ডঃ শশীভূষণ দাশগুপ্তের মতে, “কাশীনাথ এই গ্রন্থে কালীপূজার পক্ষে যে ভাবে যুক্তিতর্কের অবতারণা করিয়াছেন, তাহা দেখিলেই মনে হয়, কালীপূজা তখনও পর্যন্ত বাঙলা দেশে সুগৃহীত ছিল না।” তবে খ্রিষ্টীয় সপ্তদশ শতাব্দীতে বাংলায় কালীপূজার প্রচলনের কিছু কিছু প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে।
নবদ্বীপের প্রথিতযশা তান্ত্রিক কৃষ্ণানন্দ আগমবাগীশকে বাংলায় কালীমূর্তি ও কালীপূজার প্রবর্তক মনে করা হয়। তাঁর পূর্বে কালী উপাসকগণ তাম্রটাটে ইষ্টদেবীর যন্ত্র এঁকে বা খোদাই করে পূজা করতেন।পাঁচকড়ি বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, “কৃষ্ণানন্দ আগমবাগীশ স্বয়ং কালীমূর্তি গড়িয়া পূজা করিতেন। আগমবাগীশের দৃষ্টান্ত অনুসরণ করিয়া বাঙ্গালার সাধক সমাজ অনেকদিন চলেন নাই; লোকে ‘আগমবাগিশী’ কাণ্ড বলিয়া তাঁহার পদ্ধতিকে উপেক্ষা করিত।” অষ্টাদশ শতাব্দীতে নদিয়ার রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায় কালীপূজাকে জনপ্রিয় করে তোলেন। এই সময় রামপ্রসাদ সেনও আগমবাগীশের পদ্ধতি অনুসারে কালীপূজা করতেন। ঊনবিংশ শতাব্দীতে কৃষ্ণচন্দ্রের পৌত্র ঈশানচন্দ্র ও বাংলার ধনী জমিদারদের পৃষ্ঠপোষকতায় কালীপূজা ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে। বর্তমানে কালীপূজা বাংলায় দুর্গাপূজার মতোই এক বিরাট উৎসব।


পূজানুষ্ঠান
দুর্গাপূজার মতো কালীপূজাতেও গৃহে বা মণ্ডপে মৃন্ময়ী প্রতিমা নির্মাণ করে পূজা করা হয়। মন্দিরে বা গৃহে প্রতিষ্ঠিত প্রস্তরময়ী বা ধাতুপ্রতিমাতেও কালীপূজা করা হয়। মধ্যরাত্রে তান্ত্রিক পদ্ধতিতে মন্ত্রোচ্চারণের মাধ্যমে পূজা অনুষ্ঠিত হয়। দেবীকে ছিন্নমস্তক সহ বলির পশুর রক্ত, মিষ্টান্ন, অন্ন বা লুচি, মাছ ও মাংস উৎসর্গ করা হয়। গৃহস্থবাড়িতে সাধারণত অতান্ত্রিক ব্রাহ্মণ্যমতে আদ্যাশক্তি কালীর রূপে কালীর পূজা হয়। দেবীর পূজায় ছাগ মেষ বা মহিষ বলির প্রথা রয়েছে। সুদূর অতীতে নরবলি দিয়েও কালীপূজা হত। লোকবিশ্বাস অনুযায়ী, কালী শ্মশানের অধিষ্ঠাত্রী দেবী। এই কারণে কলকাতা সহ বাংলার বিভিন্ন অঞ্চলে শ্মশানে মহাধুমধামসহ শ্মশানকালী পূজা অনুষ্ঠিত হয়।
কোনো কোনো মণ্ডপে কালী ও শিবের মূর্তির সঙ্গে সঙ্গে বাংলার দুই বিখ্যাত কালীসাধক রামকৃষ্ণ পরমহংস ও বামাখ্যাপারদশমহাবিদ্যাও পূজিত হন।দর্শনার্থীরা সারারাত ধরে মণ্ডপে মণ্ডপে ঘুরে কালীপ্রতিমা দর্শন করেন। কালীপূজার রাতে গৃহে আলোকসজ্জা সাজানো হয় এবং আতসবাজি পোড়ানো হয়। মূর্তিও পূজিত হয়। কোথাও কোথাও কালীর সঙ্গে সঙ্গে
কলকাতার কালীঘাট মন্দিরে এই দিন দেবী কালীকে লক্ষ্মীরূপে পূজা করা হয়। হাজার হাজার ভক্ত এই দিন কালীঘাট মন্দিরে ভিড় করেন এবং দেবীর উদ্দেশ্যে বলি উৎসর্গ করেন। কলকাতার অপর বিখ্যাত কালীমন্দির দক্ষিণেশ্বর কালীবাড়িতেও কালীপূজা উপলক্ষ্যে মহাসমারোহ হয়। এইখানেই অতীতে রামকৃষ্ণ পরমহংস কালী আরাধনা করেছিলেন। সেই কারণে এই মন্দিরে কালীপূজা দেখতে প্রচুর পুণ্যার্থী এখানে ভিড় জমান।

Wednesday, October 27, 2010

সেরা ১০ আইটি সার্টিফিকেশন


চাকরিতে আইটি সার্টিফিকেশনের অনেক প্রয়োজনীয়তা আছে, এসবের মূল্যায়নও যথাযথই হয়৷ এসবের গুরুত্ব অপরিসীম, চাকরির প্রমোশনে জব এনরিচমেন্টে আইটি সার্টিফিকেশনের বিকল্প নেই৷ তবে এসব আইটি সার্টিফিকেশন নিয়ে বিরক্তের শেষ নেই- একেক পক্ষ একে বিষয়াবলীকে গুরুত্ব দেয় অন্য পক্ষ তা আবার দেয় না৷ এসবের যথার্থ তালিকা নিরূপণ করা নিয়ে মতানৈক্য রয়েছে৷ বর্তমান সময়ে দশটি আইটি সার্টিফিকেশন সকল বিতর্কের উধের্ক্ষ থেকে সর্বশ্রেষ্ঠের তালিকায় রয়েছে সেগুলো হলো-

. এমসিআইটিপি : এই নতুন প্রজন্মের 'মাইক্রোসফট সার্টিফাইড আইটি প্রফেশনাল ক্রিডেনশিয়াল'-যা হচ্ছে বর্তমানে মাইক্রোসফটের সবচেয়ে বড় প্রমাণ পত্র এটি সব ধরনের আইটি প্রফেশনালদের জন্য কার্যকরী বাস্তবিক৷ চাকরির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ, এতে বিভিন্ন স্তরে পরীক্ষার মাধ্যমে পাস করে প্রমাণপত্র নিতে হবে৷ ডাটাবেজ ডেভেলপার, ডাটাবেজ এডমিনিস্ট্রেটর এন্টারপ্রাইজ মেসেজিং এডমিনিস্ট্রেটর, সার্ভার নিয়ন্ত্রক সবার জন্যই এটি প্রযোজ্য৷

. এমসিটিএস : মাইক্রোসফট সার্টিফাইড টেকনোলজি স্পেশালিস্ট বা এমসিটিএস-আইটি স্টাফদের জন্য, বিশেষত ইনস্টলিং, রক্ষণাবেক্ষণ ট্রাবলশুটিং খুবই উপকারী৷ সুনির্দিষ্ট ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের জন্য এটি নকশা করা হয়েছে যেমন এসকিউএল সার্ভার বিজনেস ইন্টিলিজেন্স, ডাটাবেজ তৈরি, এসকিউএল সার্ভার রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ন্ত্রণে এটি অত্যাবশ্যকীয়৷

. সিকিউরিটি পস্নাস : কম্পিউটার সিকিউরিটি পস্নাস মূলত সিকিউরিটি প্রফেশনালদের জন্য ডিজাইনকৃত৷ এখানে নিরাপত্তা ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ নিশ্চয়তা প্রদান না করা গেলেও সময়োপযোগী শিক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে৷ যার মধ্যে রয়েছে সিস্টেম সিকিউরিটি, নেটওয়ার্ক অবকাঠামো, একসেস নিয়ন্ত্রণ, অডিটিং এবং অর্গানাইজেশনাল সিকিউরিটি বিষয়াবলী৷

. এমসিপিডি : মাইক্রোসফট সার্টিফাইড প্রফেশনাল ক্রিডেনশিয়াল মূলত ডেভেলপারের দক্ষতা, যোগ্যতা গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধির জন্য তিনসত্মরের সাজানো নতুন প্রজন্মের সার্টিফিকেট৷ কোর্সে ডেভেলপারের সফটওয়্যার সংক্রান সমস্যার সমাধান সফটওয়্যার তৈরির ক্ষমতা যাচাই আধুনিকায়ন করা হয় যাতে ভিজু্যয়াল স্টুডিও ২০০৮ এবং মাইক্রোসফট ডট নেট ফ্রেমওয়ার্ক . যথাযথ ব্যবহারে পারদর্শী হয়৷ এতে মূলত ব্যবসায়িক কার্যাদি সম্পাদনের জন্য প্রয়োজনীয় জ্ঞান দেয়া হয় আইটি কর্মকর্তাদের৷

. সিসিএনএ : সিসকো সার্টিফাইড ইন্টারনেট ওয়ার্ক এঙ্পার্ট বা সিসিআইই যদিও সিসকোর সব গৌরবের অংশীদার- তবে নতুন এই সিসকো সার্টিফাইড নেটওয়ার্ক এসোসিয়েট বা সিসিএনএ পূর্বের সকলের চেয়ে ভাল৷ সিসিআইই এর চেয়ে এটি বেশি আধুনিক সময়োপযোগী৷ সিসিএনএ টেকনো বিশেষজ্ঞদের নেটওয়ার্ক স্কিল উন্নয়নে সর্বাধিক সহায়তা সহ সর্বশেষ প্রযুক্তির নেটওয়ার্ক জ্ঞান প্রদান করবে৷

. পস্নাস : বর্তমানে একসাথে হার্ডওয়্যার সাপোর্ট স্কিল সম্পন্ন আইটি এঙ্পার্ট পাওয়া মুশকিল৷ বিষয়ে সম্যক জ্ঞান নিতে দরকার এপস্নাস সমন্নয় আইটি এঙ্পার্ট৷ বর্তমানে সাপোর্ট বিশেষজ্ঞদের প্রয়োজনীয়তার শেষ নেই৷ তাই ডেস্কটপ ইন্সটলেশন, সমস্যা নির্ধারণ নিরূপণ, প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থাপনা, পিসি বা নেটওয়ার্ক ঝামেলার সমাধা সহ বিভিন্ন মৌলিক সমস্যার সমাধান + প্রফেশনালদের বিকল্প নেই৷

০৭. পিএমপি : প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠান বা পিএমআই এর সবচেয়ে ভাল সার্টিফিকেশন হলো প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট প্রফেশনাল সার্টিফিকেশন৷ যা প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট প্রফেশনালদের জন্য খুবই উপকারী৷ সার্টিফিকেশনে প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট এঙ্পার্টদের দক্ষতার যাচাই সহ পস্ন্যান করা, নির্বাহী বাজেট টেকনো প্রজেক্ট পরিচালনা করার ব্যাপারে বাসত্মব সম্মত জ্ঞান দিয়ে পরীক্ষার মাধ্যমে তা যাচাই করা হয়৷ ফলে তা খুবই তাত্পর্যপূর্ণ তাই এই সার্টিফিকেশন প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট সেক্টরে সর্বাধিক স্বীকৃত প্রমাণ দলিল৷

. এমসিএসই/এমসিএসএ : মাইক্রোসফটের এই সার্টিফিকেশন উইন্ডোজ পস্নাটফর্মে কাজ করার জন্য দরকারী৷ তাছাড়া সর্বক্ষেত্রের কিছু বিশেষ ধারণা এই সার্টিফিকেশন থেকে নেয়া যায়৷ মূলত উইন্ডোজ উইন্ডোজ সার্ভার যাবত পস্নাটফর্মের উপর সম্যক জ্ঞান দেয়া সহ প্রাথমিক আরও অনেক বিষয় এর আওতাভূক্ত৷

. সিআইএসএসপি : সার্টিফাইড ইনফরমেশন সিস্টেম সিকিউরিটি প্রফেশনাল মূলত সিকিউরিটি এঙ্পার্টদের ডিজাইনকৃত৷ এটি আনর্জাতিক ভাবে স্বীকৃত সিকিউরিটি সার্টিফিকেট যেখানে অপারেশন নেটওয়ার্ক ফিজিক্যাল সিকিউরিটির পাশাপাশি রিস্ক ম্যানেজমেন্ট, লিগ্যাল বিষয়াদি নিরাপত্তা সম্পর্কিত অন্যান্য বিষয়ে সম্যক বাসত্মব জ্ঞান দেয়া হয়৷

১০. লিনাঙ্ পস্নাস : লিনাঙ্ বিষয়ে আরও আপটুডেট জানতে লিনাঙ্ পস্নাস এর বিকল্প নেই৷ রেডহাট, এসইউএসই বা উবুনটু সিস্টেম নিয়ে যারা কাজ করেন তাদের জন্য এটা উপকারী৷

কথা সত্য যে দশটি সার্টিফিকেট সবচেয়ে আধুনিক যা প্রয়োজনীয় হিসেবে গণ্য করা হলেও এগুলোই সর্বাধিক সর্বশ্রেষ্ঠ থাকবে তা বলা মুশকিল৷ কেননা, এগুলোর পাশাপাশি এইচআইপিএএ বা সারবেনস্ এঙ্েেল (এসওএঙ্) সহ ভিওআইপি পিসি প্রস্তুতকারীদের সার্টিফিকেশনও অত্যন প্রয়োজনীয় তাত্পর্যপূর্ণ