Tuesday, November 9, 2010

কোম্পানীগজ্ঞের ইতিহাস


বঙ্গোপসাগরের  উত্তাল ঢেউয়ের তরঙ্গমালা ক্রীড়া নৈপূণ্যে জেগে উঠেছে পলিমাটি বিধৌত এই সাগর তীর বার বার সাগরের ভাঙ্গাণ্ডগড়া, সামুদ্রিক ঘূর্ণি  আর প্রলয়ংকারী জলোচ্ছ্বাসের তান্ডবলীলায়  শিকার সংগ্রামী মানুষরাই আজ কোম্পানীগঞ্জের অধিবাসী ছায়াশ্যামল, পাখি ডাকা তাল তমাল, নারিকেলণ্ডসুপারি কুঞ্জ আর সোনালী ধানের মাঠ সমৃদ্ধ কোম্পানীগঞ্জ।  এই সমতট অঞ্চলটি বৈদিক যুগেই ( ১৪০০ ণ্ড১৫০০ খৃষ্টাব্দ  পূর্বে) জন বসতির উপযোগী হয়েছিল, তার প্রমাণ মেলে  মহাভারতের ঘটনা পঞ্জিতে।
কোম্পানীগঞ্জের নাম করণের ইতিহাস খুঁজলে জানাযায়, কোম্পানীগঞ্জ তথা যোগিদীয়া ছিল বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক সমুদ্র বন্দর। ১৭৫৩ সালে এই স্থানে ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী কুঠি স্থাপন করে ব্যবসা-বাণিজ্য শুরু করে। ১৭৫৬ সালে কোম্পানী একটি বস্ত্রকল স্থাপন কর, পরে ফরাসীরাও এখানে বিশাল কাপড়ের কল স্থাপন করে এবং স্থানীয় যোগী (তাঁতী) দের উৎপাদিত দেশীয় বস্ত্রসহ এসব কাপড় এবং লবন যোগিদীয়া সমুদ্র বন্দর দিয়ে বিদেশে রপ্তানী হত। ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী নামানুসারে পরবর্তীতে এই স্থানের নামকরণ করাহয় কোম্পানীগঞ্জ। এই কোম্পানীগঞ্জের যোগিদীয়ায় চন্দ্রদ্বীপ, বাকলা, ভূষনা, বিক্রমপুর, মেহেরকূল অঞ্চলের পন্ডিতদের সম্মেলন বসতো এবং বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনের সৈনিক মাষ্টারদা সূর্ষসেন, অনন্তসিংহ, লোকনাথ বল, বিভুতি ভূষণ ভট্টাচার্য,হারানঘোষ প্রভুত এখানে বৈঠক করতেন।
বিস্তৃর্ণ  চরাঞ্চলে গরু, মহিষ, অতিথি পাখিদের  অভয়ারণ্য কোম্পানীগঞ্জ ৮টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা  নিয়ে গঠিত। বিদেশী জাহাজে  চাকুরীর সুবাদে কোম্পানীগঞ্জ বাসী বিশ্বের প্রায় দেশেই অবস্থান করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা এদেশে  পাঠাচ্ছেন। তারই ফলশ্রুতিতে চরাঞ্চল কোম্পানীগঞ্জ আজ একটি সমৃদ্ধ মফস্বল শহর। ১৯৮৩ সনের ২ জুলাই উপজেলাটি উদ্বোধন করা হয়।