টেলিসেন্টার কি?
· টেলিসেন্টার হলো সর্বসাধারণের গমনাগমনের জন্য একটি সাধারণ স্থান;
· যেখান থেকে তাঁরা তাদের জীবন-জীবিকার সাথে সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে সঠিক তথ্য পেতে পারে;
· যেখান থেকে তাঁরা তাদের জীবন-জীবিকার সাথে সম্পর্কিত বিভিন্ন সেবা পেতে পারে;
· যা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির বিভিন্ন মাধ্যম যেমন কম্পিউটার, মোবাইল ফোন, ইন্টারনেট ইত্যাদি ব্যবহার করে সংগ্রহ করতে পারে;
· যা মূলত সঠিক সময়ে প্রয়োজনীয় সঠিক তথ্যের প্রবাহ নিশ্চিত করে জীবন-জীবিকার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টিতে কার্যকারী ভূমিকা রাখে।
· বিভিন্ন দেশে টেলিসেন্টার ভিন্ন ভিন্ন নামে পরিচিত, এমনকি প্রতিষ্ঠান ভেদে এর নামও ভিন্ন। বাংলাদেশে ডি.নেটের উদ্যোগে লোকজ প্রতিষ্ঠানের সাথে যৌথভাবে পরিচালিত টেলিসেন্টারগুলো পল্লীতথ্য কেন্দ্র নামে পরিচালিত।
টেলিসেন্টার কাদের জন্য?
· সমাজে সুবিধাবঞ্চিত, নারীসহ সকল শ্রেণীর মানুষকে তথ্য ও পরামর্শ সেবা প্রদানের জন্য টেলিসেন্টার কাজ করবে;
· টেলিসেন্টার থেকে তথ্য সেবা গ্রহণে কোনভাবেই কোন ব্যক্তি বাদ পড়বে না কিংবা বঞ্চিত হবে না।
টেলিসেন্টার কেন দরকার?
· বর্তমান বিশ্বে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির উত্তরোত্তর বিকাশ দারিদ্র্য বিমোচন ও উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে নানাভাবে ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে। কিন্তু উন্নয়নশীল দেশগুলো এ সুযোগ থেকে অনেক পিছিয়ে আছে যা বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও সত্য, আরো বেশী সত্য এদেশের গ্রামাঞ্চলগুলোর ক্ষেত্রে;
· গ্রামগুলোতে এখনও তথ্য প্রযুক্তির বিষয়টি অধিকাংশেরই অজানা যার ফলে গ্রাম ও শহরের মধ্যে নানা দিক থেকে ব্যবধান ক্রমশ: বেড়েই চলেছে;
· এসমস্ত বাস্তবতা এবং মাঠ পর্যায়ের অভিজ্ঞতা থেকে দেখা যায় পল্লীবাসীর জীবন-জীবিকার মান উন্নয়নের একটি বড় বাধা হচ্ছে তাদের কাছে সঠিক সময়ে সঠিক ও প্রয়োজনীয় তথ্য না পৌঁছানো;
· সঠিক সময়ে সঠিক ও প্রয়োজনীয় তথ্যের প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে বর্তমানে কার্যকারী ভূমিকা রাখছে কম্পিউটার, মোবাইল ফোন, ইন্টারনেট ইত্যাদি ছাড়াও যোগাযোগ প্রযুক্তির বিভিন্ন মাধ্যম;
· কিন্তু যেখানে আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ দারিদ্রসীমার নিচে বাস করে, নুন আনতে পানতা ফুরায় সেখানে তাদের কাছে কম্পিউটার, মোবাইল ফোন, ইন্টারনেট এগুলো অকল্পনীয়;
· প্রত্যেকে কম্পিউটার, মোবাইল ফোন ইত্যাদি কিনে বাড়িতে বসে নিজে ব্যবহার করবে এটা আরও অকল্পনীয়;
· এসকল প্রতিকূলতা কাটিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য টেলিসেন্টারই হতে পারে একমাত্র স্থান যেখান থেকে সর্বসাধারন সংগ্রহ করবে তাদের দৈনন্দিন জীবনের জন্য প্রয়োজনীয় নানা তথ্য। প্রয়োজন হবে না প্রত্যেকের ঘরে ঘরে কম্পিউটার, মোবাইল ফোন, ইন্টারনেট থাকার; এগুলোর ব্যবহার বিধি না জানলেও সমস্যা নেই কেননা এ কাজে সহযোগিতার জন্য সবসময় থাকবে একদল দক্ষ তথ্যকর্মী।
টেলিসেন্টার যেভাবে কাজ করবে
নমুনা হিসাবে ‘তথ্য কেন্দ্র’ যেভাবে পরিচালিত হয় তা নিচের চক্রটির মাধ্যমে দেখানো হলো-
- তথ্যকর্মীর সহযোগিতায় বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহার করে টেলিসেন্টারে বসেই সকলে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করতে পারেন
- মোবাইল তথ্যকর্মী মোবাইল ফোন নিয়ে বাড়িতে বাড়িতে যায় এবং মানুষকে প্রয়োজনীয় তথ্য ও পরামর্শের জন্য হেল্পডেস্কে বিশেষজ্ঞের সাথে যোগাযোগ করিয়ে দেন
- তথ্যকর্মী সরাসরি বিভিন্ন পেশাজীবির কাছে যায়, তার সমস্যা শোনে এবং পরামর্ম পেতে সহযোগিতা করেন
- তথ্যের গুরুত্ব বোঝাতে এবং মানুষের আগ্রহ সৃষ্টি করতে তথ্যকর্মী গ্রামে গ্রামে মোবিলাইজেশনের কাজ করেন